দেশে শান্তি ফিরিয়েছি। উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। পরিকল্পিত কাজ করে জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছি। সেই…
বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করে দিয়েছে। ‘প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অাওয়ামী লীগকে দ্বিধা-বিভক্ত করার প্রতিবাদে’ গতকাল রোববার দুপুরে প্রয়াত সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলো বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু লিখিত বক্তব্য পাঠ করাকালে সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.বি.এম মশিউজ্জামান, সদর মডেল থানার ওসি মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন, ওসি তদন্ত আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের সামনেই বাঁধা দিয়ে মাইক কেড়ে নেয়। ‘সাংবাদিক সম্মেলনের অনুমতি নেই’ এমনটি বলে সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করতে বলেন। এনিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ ছাপিয়ে সৃষ্টি হয় তুমুল উত্তেজনা। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ‘সাংবাদিক সম্মেলন করার অনুমতি নেই, অপরপক্ষও একইস্থানে সাংবাদিক সম্মেলনের ঘোষনা দিয়েছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে’ এমনটি বলে নেতাদের সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করতে বলেন। শেষতক পুলিশী বাধায় আওয়ামী লীগের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করতে বাধ্য হন। অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনস্থলের বাহিরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর আগে সকালেই মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লুৎফুল হাই সাচ্চুর বাসার প্রবেশমুখে অর্ধশতাধিক পুলিশ অবস্থান নেয়। এসবকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উল্ললেখ্য, সংবাাদ সম্মেলনে জেলার, বিজয়নগর ও সদর উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, বর্তমান জেলা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমানুল হক সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মিনারা আলম এবং জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদের বিরুদ্ধে বহিস্কারের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এই প্রস্ততাবের জবাব দিতেই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএসসি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারা আলম, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোবারক হোসেন, বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন শেরশাহ, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সেলিম প্রমুখসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম মশিউজ্জামান বলেন, ‘দুইপক্ষ একই স্থানে, একই সময়ে সমাবেশের ডাক দেয়ায় এবং অনুমতি না থাকায় আইশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো পক্ষকেই অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি।’
Leave a Reply