২০১৬ সালে শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল ‘বিসর্জন’; যে ছবিতে প্রধান নারী…
বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১১:২০ অপরাহ্ন
বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী
ফার্মাসিস্ট, ডার্মাটোলজিক্যাল সেগমেন্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটি ক্যালস লিঃ
ত্বক একজন মানুষের অন্যান্য অঙ্গ যেমন হার্ট ও ফুসফুসের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রতিরক্ষা দেয়াল হিসেবে দেহের অন্যান্য অঙ্গকে সুরক্ষা দেবার পাশাপাশি দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা, দেহের প্রয়োজনীয় ফ্লুইড ধারণ, ঘামের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ, সংবেদনশীলতা ও ভিটামিন ডি উৎপাদন করে থাকে।
বর্ষাকালে ত্বক আদ্র থাকে ফলে বিভিন্ন ধরণের ছত্রাক সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ে। তাই এই সময় ত্বকের যতœ নেয়া ভীষণভাবে জরুরী।
বর্ষাকালে ত্বককে সুস্থ রাখতে নিচের পরামর্শগুলো অনুসরন করে চলুনঃ
1. ত্বকের বিভিন্ন ভাজে ভেজা থাকার ফলে এই সময় ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। তাই শরীরের বিভিন্ন ভাজে জমে থাকা পানি শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন এবং ত্বক সবসময় শুষ্ক রাখুন।
2. প্রতিদিন কম পক্ষে ৩ বার ত্বক পরিস্কার করার ফলে অতিরিক্ত ময়লা ও তেল ত্বকে জমতে পারবেনা এবং সংক্রমণ হবেনা। ত্বক পরিস্কার রাখতে অতিরিক্ত ক্ষার যুক্ত সাবান এড়িয়ে চলুন এবং একই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তোয়ালে ব্যবহার করুন কারন একই তোয়ালে পরিবারের সবাই ব্যবহার করলে ত্বক বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিস্কার করবেননা, অতিরিক্ত তাপমাত্রা ত্বকে জ্বালা পোড়া তৈরি করে।
3. সিনথেটিক কাপড়ের পরিবর্তে সুতি কাপড় পরিধান করুন, এর ফলে দেহে বাতাসের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং ত্বক সুস্থ থাকবে।
4. ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে, পানি সমৃদ্ধ ময়েশ্চারায়জার নিয়মিত ব্যবহার করুন।
5. বর্ষাকালে মাথার ত্বকে খুশকি ও ছত্রাক সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়, তাই সঠিক কন্ডিশনারযুক্ত শ্যা¤পু সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
6. শাঁকসবজি ও ফলমূলখাদ্য তালিকায় রাখুন এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। তৈলাক্ত খাবার ত্বকে ব্রণ হবার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
7. অতিরিক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন। বর্ষাকালে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার নানা ধরণের চর্ম রোগ তৈরি করে। তাই এসময় প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন।
8. অতিরিক্ত মানুষিক ও শারীরিক চাপ ত্বককে অধিক মাত্রায় সংবেদনশীল করে তোলে এবং ত্বকে ব্রণ হবার প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। তাইচাপ মুক্ত থাকতে বিভিন্ন ধরণের ব্যয়াম করুন।
9. প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন.
10. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করুন
Leave a Reply